ঢাকা ০৯:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ ::
আমাদের নিউজপোর্টালে আপনাকে স্বাগতম...

নারী যোদ্ধা

অনিক দে
  • আপডেট সময় : ০৩:১৮:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ নভেম্বর ২০২৩ ২১০ বার পড়া হয়েছে

আমি মুক্তি সরকার , আমার জন্ম এবং স্কুল যাকে বলে কৈশোর বেলা কেটেছে পাবনা শহরে। আমার শশুর বাড়িও পাবনা।
কিন্তু স্কুলের পরবর্তী জীবনে বাবা সরকারি কর্মকর্তা হওয়ার সুবাদে ফরিদপুরে চলে আসি।ফরিদপুরে আমার বিয়ে এবং পড়াশোনা শেষ করা পরযন্ত
থাকি।
তারপর সারা বাংলাদেশ ঘুরেছিহাসবেন্ডের চাকুরী সুবাদে।
২০০৪ এ আমি ঢাকার মিরপুরে আসি এবং তখন থেকেই শুরু হয় আমার উদ্যোক্তা জীবন। আমি নিজে কাপড় কিনে তার উপর কাট ব্লক প্রিন্ট করতাম শাড়ি ও থ্রি পিস দুটোতেই। আমার বাসায় এগুলো বিক্রি হয়ে
যেতো।
এরপর ২০১১ তে আমরা তিন বন্ধু মিলে একটা দোকান দেই যার নাম দিয়ে ছিলাম” নারী ” কিন্তু কিছু মানুষের দলাদলির কারণে দু বছর পরে এ ব্যাবসা টাও ছেড়ে দিতে হয়।
এ ব্যাবসা করতে এসে প্রথম পরিচিত হই রংপুরের ঐতিহ্যবাহী শতরঞ্জির সঙ্গে। দোকান ছেড়ে দিলেও
আমি শতরঞ্জি ছাড়িনি। এবার শুরু হলো বাসায় শতরঞ্জি নিয়ে নতুন পথচলা।
এভাবেই চলছিল কিন্তু বিধি বাম, ২০২০ এ দেশব্যাপী নয় শুরু হলো পৃথিবীব্যাপী করনার মহামারী। আরএই সময় আমরা সবাই এক ভয়াবহ সময় কাটিয়েছি। করনার এই ভয়াবহতা যেমন দেখেছি তেমনই আমাদের অনেক” উদ্যোক্তা” তৈরি করে দিয়েছে এই সময়।
২০২১ থেকে শুরু করলাম অনলাইন জগৎ। এখনো
টিকে আছি আর আজীবন থাকবো আমার এ প্রিয় জায়গায়।
এবার আসি আমার পরিবার নিয়ে আমার স্বামী সিভিল ইন্জিনিয়ার, আমার একমাত্র কন্যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত, ও একমাত্র পুত্র মনিপুর কলেজে অধ্যায়নরত -এই চারজন নিয়ে আমার ছোট্ট সংসার।
আশা করছি সবাই আমার পাশে থাকবেন ও আশীর্বাদ / দোয়া করবেন আমার জন্য।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

নারী যোদ্ধা

আপডেট সময় : ০৩:১৮:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ নভেম্বর ২০২৩

আমি মুক্তি সরকার , আমার জন্ম এবং স্কুল যাকে বলে কৈশোর বেলা কেটেছে পাবনা শহরে। আমার শশুর বাড়িও পাবনা।
কিন্তু স্কুলের পরবর্তী জীবনে বাবা সরকারি কর্মকর্তা হওয়ার সুবাদে ফরিদপুরে চলে আসি।ফরিদপুরে আমার বিয়ে এবং পড়াশোনা শেষ করা পরযন্ত
থাকি।
তারপর সারা বাংলাদেশ ঘুরেছিহাসবেন্ডের চাকুরী সুবাদে।
২০০৪ এ আমি ঢাকার মিরপুরে আসি এবং তখন থেকেই শুরু হয় আমার উদ্যোক্তা জীবন। আমি নিজে কাপড় কিনে তার উপর কাট ব্লক প্রিন্ট করতাম শাড়ি ও থ্রি পিস দুটোতেই। আমার বাসায় এগুলো বিক্রি হয়ে
যেতো।
এরপর ২০১১ তে আমরা তিন বন্ধু মিলে একটা দোকান দেই যার নাম দিয়ে ছিলাম” নারী ” কিন্তু কিছু মানুষের দলাদলির কারণে দু বছর পরে এ ব্যাবসা টাও ছেড়ে দিতে হয়।
এ ব্যাবসা করতে এসে প্রথম পরিচিত হই রংপুরের ঐতিহ্যবাহী শতরঞ্জির সঙ্গে। দোকান ছেড়ে দিলেও
আমি শতরঞ্জি ছাড়িনি। এবার শুরু হলো বাসায় শতরঞ্জি নিয়ে নতুন পথচলা।
এভাবেই চলছিল কিন্তু বিধি বাম, ২০২০ এ দেশব্যাপী নয় শুরু হলো পৃথিবীব্যাপী করনার মহামারী। আরএই সময় আমরা সবাই এক ভয়াবহ সময় কাটিয়েছি। করনার এই ভয়াবহতা যেমন দেখেছি তেমনই আমাদের অনেক” উদ্যোক্তা” তৈরি করে দিয়েছে এই সময়।
২০২১ থেকে শুরু করলাম অনলাইন জগৎ। এখনো
টিকে আছি আর আজীবন থাকবো আমার এ প্রিয় জায়গায়।
এবার আসি আমার পরিবার নিয়ে আমার স্বামী সিভিল ইন্জিনিয়ার, আমার একমাত্র কন্যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত, ও একমাত্র পুত্র মনিপুর কলেজে অধ্যায়নরত -এই চারজন নিয়ে আমার ছোট্ট সংসার।
আশা করছি সবাই আমার পাশে থাকবেন ও আশীর্বাদ / দোয়া করবেন আমার জন্য।