ঢাকা ১০:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ ::
আমাদের নিউজপোর্টালে আপনাকে স্বাগতম...

পানির নিচে বিশ্বের প্রথম মসজিদ তৈরি হচ্ছে দুবাইয়ে।

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৪১:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৩৬ বার পড়া হয়েছে

ধ্যপ্রাচ্যের এক ছোট্ট দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। এই দেশটির সবচেয়ে বড় ও জনবহুল শহর হচ্ছে দুবাই। মূলত উঁচু উঁচু ভবন, কৃত্রিম দ্বীপ, নামিদামি গাড়ি-বাড়ির জন্য পরিচিত এই শহর। এই শহরেই এবার পানির নিচে তৈরি হতে যাচ্ছে মসজিদ। খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদন মতে, এরই মধ্যে পানির নিচে বিশ্বের প্রথম মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে দুবাই কর্তৃপক্ষ। এর ফলে পানির নিচে নামাজ আদাযের এক অপূর্ব অভিজ্ঞতার সাক্ষী হবেন মুসল্লিরা।প্রতিবেদন মতে, এই মসজিদের জন্য পাঁচ কোটি ৫০ লাখ দিরহাম ব্যয় করা হবে বলে প্রাথমিক সমীক্ষায় জানানো হয়েছে। খুব শিগগিরই মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এরই মধ্যে মসজিদটির প্রাথমিক ও নকশা ও ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।

সম্প্রতি ধর্মীয় পর্যটন প্রকল্প সম্পর্কে এক বিবৃতিতে বিশ্বের ব্যতিক্রমধমী এ মসজিদ নির্মাণ পরিকল্পনার কথা জানায় দুবাইয়ের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড চ্যারিটেবল অ্যাক্টিভিটিস বিভাগ। এ সময় তারা প্রস্তাবিত মসজিদটির। নকশা অনুযায়ী, মসজিদটি হবে তিন তলাবিশিষ্ট। এর দুটি অংশ থাকবে। একটি অংশ থাকবে পানির ওপর এবং অপর তথা মূল অংশটি থাকবে পানির নিচে। পানির ওপরের অংশে বসার জায়গা ও একটি কফিশপ থাকবে। সেখানে থাকবে নারী ও পুরুষের আলাদা আলাদা বসার ব্যবস্থা।

আর পানির নিচের অংশে থাকবে নামাজের ব্যবস্থা। সেখানে একসঙ্গে ৫০ থেকে ৭৫ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। পানির নিচের অংশেই থাকবে অজু ও ওয়াশরুম বা টয়লেটের ব্যবস্থা।

মসজিদ নির্মাণের ব্যাপারে দুবাইয়ের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড চ্যারিটেবল অ্যাক্টিভিটিস বিভাগ কর্মকর্তা আহমেদ আল মানসুরি বলেন, খুব শিগগির এ মসজিদ নির্মাণের কাজ।ঠিক কোন জায়গায় মসজিদটি নির্মাণ করা হবে তা এখনো জানানো হয়নি। তবে আহমেদ আল মনসুরি ইঙ্গিত দিয়েছেন, উপকূলের খুব কাছে মসজিদটি নির্মাণ করা হবে। মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে একটি সেতুর মাধ্যমে মসজিদটি যুক্ত থাকবে, যার মাধ্যমে মুসল্লিরা সেখানে যেতে পারবেন।

এ সময় আহমেদ আল মানসুরি আরও জানান, অন্য ধর্মের লোকজনও মসজিদটি পরিদর্শন করতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে তাদেরকে অবশ্যই শালীন পোশাক পরিধানসহ অন্যান্য ইসলামি রীতিনীতি মেনে চলতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

পানির নিচে বিশ্বের প্রথম মসজিদ তৈরি হচ্ছে দুবাইয়ে।

আপডেট সময় : ১০:৪১:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ধ্যপ্রাচ্যের এক ছোট্ট দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। এই দেশটির সবচেয়ে বড় ও জনবহুল শহর হচ্ছে দুবাই। মূলত উঁচু উঁচু ভবন, কৃত্রিম দ্বীপ, নামিদামি গাড়ি-বাড়ির জন্য পরিচিত এই শহর। এই শহরেই এবার পানির নিচে তৈরি হতে যাচ্ছে মসজিদ। খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদন মতে, এরই মধ্যে পানির নিচে বিশ্বের প্রথম মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে দুবাই কর্তৃপক্ষ। এর ফলে পানির নিচে নামাজ আদাযের এক অপূর্ব অভিজ্ঞতার সাক্ষী হবেন মুসল্লিরা।প্রতিবেদন মতে, এই মসজিদের জন্য পাঁচ কোটি ৫০ লাখ দিরহাম ব্যয় করা হবে বলে প্রাথমিক সমীক্ষায় জানানো হয়েছে। খুব শিগগিরই মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এরই মধ্যে মসজিদটির প্রাথমিক ও নকশা ও ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।

সম্প্রতি ধর্মীয় পর্যটন প্রকল্প সম্পর্কে এক বিবৃতিতে বিশ্বের ব্যতিক্রমধমী এ মসজিদ নির্মাণ পরিকল্পনার কথা জানায় দুবাইয়ের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড চ্যারিটেবল অ্যাক্টিভিটিস বিভাগ। এ সময় তারা প্রস্তাবিত মসজিদটির। নকশা অনুযায়ী, মসজিদটি হবে তিন তলাবিশিষ্ট। এর দুটি অংশ থাকবে। একটি অংশ থাকবে পানির ওপর এবং অপর তথা মূল অংশটি থাকবে পানির নিচে। পানির ওপরের অংশে বসার জায়গা ও একটি কফিশপ থাকবে। সেখানে থাকবে নারী ও পুরুষের আলাদা আলাদা বসার ব্যবস্থা।

আর পানির নিচের অংশে থাকবে নামাজের ব্যবস্থা। সেখানে একসঙ্গে ৫০ থেকে ৭৫ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। পানির নিচের অংশেই থাকবে অজু ও ওয়াশরুম বা টয়লেটের ব্যবস্থা।

মসজিদ নির্মাণের ব্যাপারে দুবাইয়ের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড চ্যারিটেবল অ্যাক্টিভিটিস বিভাগ কর্মকর্তা আহমেদ আল মানসুরি বলেন, খুব শিগগির এ মসজিদ নির্মাণের কাজ।ঠিক কোন জায়গায় মসজিদটি নির্মাণ করা হবে তা এখনো জানানো হয়নি। তবে আহমেদ আল মনসুরি ইঙ্গিত দিয়েছেন, উপকূলের খুব কাছে মসজিদটি নির্মাণ করা হবে। মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে একটি সেতুর মাধ্যমে মসজিদটি যুক্ত থাকবে, যার মাধ্যমে মুসল্লিরা সেখানে যেতে পারবেন।

এ সময় আহমেদ আল মানসুরি আরও জানান, অন্য ধর্মের লোকজনও মসজিদটি পরিদর্শন করতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে তাদেরকে অবশ্যই শালীন পোশাক পরিধানসহ অন্যান্য ইসলামি রীতিনীতি মেনে চলতে হবে।